বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের রাজত্ব চললেও অনেকেই এখনো খোঁজ করেন একটি নির্ভরযোগ্য বাটন মোবাইল। বিশেষ করে যাদের প্রয়োজন শুধু কল করা, মেসেজ পাঠানো কিংবা দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, তাদের কাছে বাটন মোবাইল এখনো একান্ত প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। তাই আজকের আলোচনায় আমরা তুলে ধরছি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—
বাটন মোবাইল এর দাম এবং কেন এই ফোনগুলো এখনও এত জনপ্রিয়।
আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে তাকাই, দেখবো যে বাটন মোবাইল একসময় ছিল সব ঘরের সদস্য। সহজ ব্যবহারের জন্য প্রবীণদের কাছে এটি ছিল একমাত্র ভরসা। আজও, যারা দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করতে চান বা যারা ফোনে কম সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য বাটন মোবাইল হলো সেরা সমাধান।
বাটন মোবাইলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর ব্যাটারি ব্যাকআপ। একবার চার্জ দিলে দুই-তিন দিন অনায়াসে চলে যায়। স্মার্টফোনে যেখানে ঘন ঘন চার্জ দিতে হয়, সেখানে বাটন ফোন একজন কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
দামের দিক থেকে বাটন মোবাইল অত্যন্ত সাশ্রয়ী। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বাটন মোবাইল পাওয়া যায় যেমন Symphony, Walton, Nokia, itel, Maximus ইত্যাদি। এই ফোনগুলোর দাম সাধারণত ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৮০০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে কিছু হাই-কোয়ালিটি বা মাল্টি-সিম বাটন মোবাইলের দাম ৩০০০ টাকার কাছাকাছিও হতে পারে।
এখন প্রশ্ন আসে—এই দামে আমরা কী কী সুবিধা পাচ্ছি? বেশিরভাগ বাটন মোবাইলে থাকছে ডুয়াল সিম সাপোর্ট, টর্চ লাইট, মিউজিক প্লেয়ার, ক্যামেরা (বেসিক), রেডিও, ব্লুটুথ এবং মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট। কিছু মডেলে আবার থাকছে অটোমেটিক কল রেকর্ডিং ফিচার ও ওয়্যারলেস এফএম।
এই ফোরামে আমরা জানতে চাই আপনি কোন ব্র্যান্ডের বাটন মোবাইল ব্যবহার করছেন? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? দাম অনুযায়ী সেটি কতটা সন্তোষজনক সেবা দিচ্ছে? আপনার মতামত অন্যদের বেছে নিতে সাহায্য করবে।